বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পাঠ্যপুস্তকে দেশের সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন থাকবে: এনসিটিবি চেয়ারম্যান ভালুকায় পাবলিক লাইব্রেরি পুনরুদ্ধারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান বিদেশে থেকেও চাকুরীতে বহাল তবিয়তে সাবেক এমপি একরাম চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণ ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত খর্ণিয়ায় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মডেল আবাসন নির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ পুষ্পধারা নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার সাথে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন সালাউদ্দীন ও গালিবের নেতৃত্বে ইবির ফটোগ্রাফিক সোসাইটি

অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধানসহ ভালো সম্পর্কের প্রত্যাশা

রিপোর্টারের নাম / ৫৫১ বার
আপডেট সময় :: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৯, ৩:২৫ পূর্বাহ্ন

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ এনডিএ জোটের বিপুল জয়ের এক সপ্তাহের মাথায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের লনে বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।

মোদির পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বাকি ৫৭ সদস্যও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে শপথবাক্য পাঠ করেন। এ নিয়ে বিজেপি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে সরকার গঠন করল।

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সব সদস্যের প্রতি আমাদের অভিনন্দন। বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর এ শপথের ইতিবাচক একটি দিক হল, এতে পরাজিত দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী, তার মা ও সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীসহ বিরোধী দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় পরস্পরের বিরুদ্ধে তীব্র বাক্যবাণের পরও হারের দায় স্বীকার করে বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানানো এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি ভারতের গণতন্ত্রের ইতিবাচক দিক বলতে হবে। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার বিষয় রয়েছে বৈকি।

প্রথমবার ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার সময়ও নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাকিস্তান ব্যতীত প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় ভারত। তাতে সাড়া দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত ছিলেন। নিজের শপথ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর পেছনে মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি কাজ করেছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার মোদির এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। বস্তুত, প্রতিবেশী দেশ ভালো না থাকলে বিশ্বায়নের এ যুগে নিজ দেশের ভালো থাকার উপায় নেই।

আশার কথা, কংগ্রেস সরকারের সময় ভারতের সংসদে তোলা আমাদের দ্বিপাক্ষিক স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের বিষয়টি যে কেবল মুখের কথা নয়, সে প্রমাণ মোদি সরকার দিয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে তার শপথের মধ্য দিয়ে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিশেষত, নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার এ চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক হওয়ায় এবং যে পশ্চিমবঙ্গের আপত্তির কারণে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা যাচ্ছিল না, সেখানেও বিজেপি ভালো ফল করায় বিষয়টি সমাধানের পথ সুগম হবে বলে আমরা মনে করি। এ ছাড়া সীমান্তে হতাহতের বিষয়টি শূন্যে নামিয়ে আনা, বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে অশুল্ক-শুল্ক বাধা দূর করাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দু’পক্ষই আন্তরিকভাবে কাজ করবে- এটিই কাম্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!