ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের ডিজিএম শাহ আলমের বিরোদ্ধর ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০১৪ সালের গ্যাস আইন অনুযায়ী কোন গ্রাহক গ্যাস বিল বকেয়া অথবা অন্য কোন কারণে অস্থায়ী ভাবে গ্যাস বিচ্ছিন্ন করা হইলে। ওই গ্রাহক রেগুলেটার লাগিয়ে গ্যাস ব্যবহার করে, তাহলে দ্বিতীয়বার স্থায়ী ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হবে, যা গ্যাস আইন অনুসারে আর সংযোগ হবে না।
গ্রাহকের নাম, হোসনেয়ারা বেগম,পূর্ব মেড্ডা,। গ্রাহক সংকেত নং =১৪০-৫৫১৫। উক্ত গ্রাহককে প্রথমবার ১৯সেপ্টেম্ভর ২৪ তারিখে বকেয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন করেন।দ্বিতীয় বার ১ অক্টোবর২৪ তারিখে আবার বিচ্ছিন্ন করেন।পরপর দুইবার বিচ্ছিন্ন করার পরও তাকে গত১৬ অক্টোবর ২৪ তারিখে ওই গ্রাহককে পুনঃসংযোগের চাহিদা পত্র প্রদান করেন ডি জি এম শাহ আলম। কিন্তু ডিজিএম শাহআলম কিসের বিনিময় ওই গ্রাহককে পুনঃসংযোগ প্রদান করেন।
তাছাড়াও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নিজে আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।বাখরাবাদ অফিসের জন্য পানির ফিল্টার ক্রয়ের নামে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ।অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট প্রোগ্রামে ট্রাক ভাড়ার নামে টাকা আত্মসাৎ। বাখরাবাদ অফিসের এরিয়ায় ঘাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্নর নামে কাজ না করে টাকা আত্মসাত।গাড়ি ভাড়ার বিলের টাকা ক্রস চেকের মাধ্যেমে নিজের লোক দিয়ে উত্তোলন।তাছাড়াও এই কর্মকর্তা অবৈধ পন্থায় টাকা ইনকাম করার একটি উদাহরণ।
গত ১ মাস পূর্বে এই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে ডিজিএমকে প্রশ্ন করেন, গ্যাস হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিনা,তিনি বলেন হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। যদি কোন ব্যক্তি গ্যাস সংযোগ দেয় সম্পূর্ণ অবৈধ।
ট্যাংকের পার ঘাডা বাড়ি ইয়াকুব মিয়ার বাড়ি সহ একাধিক বাড়িতে ২০২৪ অক্টোবর গ্যাস সংযোগ কিভাবে হয় জিগ্গেস করলে ডিজিএম শাহ আলম নাম শুনে প্রথম চমকে ওঠেন।এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে বলেন ম্যানেজার ছুটিতে আছেন ছুটি কাটিয়ে আসলে সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন করা হবে।
দীর্ঘ ১ মাস পার হলেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি।এ বিষয়ে কুমিল্লা বাখরাবাদ এমডি, র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রিপোর্ট রিমান্ড রোড কাগজটি পাঠান তারপর দেখতেছি।