বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সংকট কাটেনি জ্বালানি–ডলারের, বেড়েছে লোডশেডিং বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান ভোমরা বন্দর শ্রমিক নেতাদের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আশাশুনিতে যুবদল নেতার দখল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ভালুকায় নয়া কাগজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বিরুদ্ধে ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা নোয়াখালীতে তোতা হত্যাকাণ্ড: খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন বেলকুচিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি চান শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৫ বার
আপডেট সময় :: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪, ৭:০৩ অপরাহ্ন

ক্ষমতার পালাবদলে বিচারালয়ের শীর্ষ পদে পরিবর্তনের পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করার খবর এলেও তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টের পাশে শিক্ষা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের সাত বিচারকের মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম পদত্যাগ করেননি। তাকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করা হচ্ছে বলে বিকালে খবর আসে।

সেই প্রসঙ্গ ধরে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দাবিতে প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। আমরা জেনেছি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মো. আশফাকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গত পনের বছর তিনি হাসিনাকে সার্ভ করেছেন। তাই আমরা এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করছি।

বিচারপতিদের পদত্যাগের কারণে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের শূন্যতা পূরণে হাইকোর্ট বিভাগের ৭ বিচারকে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব দেওয়ারও খবর এসেছে ইতোমধ্যে। সাতজনের ওই সম্ভাব্য তালিকাতেও বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান।

শিক্ষার্থীদের অবস্থানে তাদের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার রক্ত হয়ে কবরস্থানের মাধ্যমে আমরা খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি। এটি আমাদের প্রাথমিক বিজয়। খুনি হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তখন একটি গোষ্ঠী আবারও উঠে পড়ে লেগেছে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। সারা বিশ্বব্যাপী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশে বিদেশে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা ঘুরিয়ে দেব।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আজ যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। বিচার বিভাগীয় ক্যু করে, এ সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল খুনি হাসিনার নিয়োগকৃত বিচারপতি। আমরা খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি, কিন্তু যদি এই বিচার ব্যবস্থাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি, তাহলে আমাদের যেই ন্যায্যতার স্বপ্ন রয়েছে সেটি আমরা কখনোই প্রতিষ্ঠিত করতে পারব না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার তিন দফা দাবি ঘোষণা করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগ পুনর্গঠন করতে হবে। হাসিনার পুলিশ প্রশাসন আমরা চাই না, পুলিশকে পুনর্গঠন করতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে নিরস্ত্র করে পুনর্গঠন করতে হবে, যে পুলিশ হবে জনতার পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!