- Sherpur24 - https://sherpur24.com -

বিজ্ঞানে রবীন্দ্রনাথ

বিজ্ঞান শব্দের অর্থ বিশেষ জ্ঞান। বিশেষ বিশেষ জ্ঞানে বিশেষজ্ঞরাই বিজ্ঞানী নামে পরিচিত। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের মধ্যে দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ সাহিত্য একটা কল্পনার বিষয়বস্তু যুক্তিসিদ্ধ মননের প্রকাশ। অপরটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণার মাধ্যমে স্বতঃসত্য আবিষ্কার করে মানবকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। সাহিত্যেও রয়েছে মানবকল্যাণের অপার সম্ভবনা। তবে ইংরেজ মনীষী স্নো সিপি দু’য়ের দূরত্বকে মানব সভ্যতার পক্ষে ক্ষতিকারক বলে মনে করেন। মানুষের সামাজিক শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধিতে, শিক্ষানীতিতে, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সঙ্গীতচর্চার কথা বলা হয়েছে।

সমাজের সবাইকে সমান অধিকার বণ্টনের প্রচেষ্টায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালায় সমাজবিজ্ঞানীগণ। আর ভাষার মাধ্যমে দুর্বোধ্যতা দূর করার তাগিদে ভাব-ভাষা ও ভাবনাকে সহজ-সরলভাবে উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করার যে প্রচেষ্টা এবং কলাকৌশল অবলম্বন করে ভাষাকে উন্নত করেন ভাষাবিজ্ঞানী। আমরা রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি গান, গল্প, কবিতা, উপন্যাস তথা লেখনির মাধ্যমে তাকে সমাজবিজ্ঞানী ও ভাষাবিজ্ঞানী বললে অত্যুক্তি হবে না। তাই সমাজ থেকে উপাদান সংগ্রহ করতে গেলে সমাজের ব্যক্তি-মানস রবীন্দ্রনাথের পরশ পাওয়া যায়। যে মানুষের কল্পনায় বিপুল সত্য ও সৌন্দর্যের উদ্বোধন এবং সহজ-সরল ভাষায় মত প্রকাশ করাই হচ্ছে রবীন্দ্র চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এখানে বিজ্ঞানের শিক্ষা, উপজাত, বোধ, বুদ্ধি, চেতনা, যাতনা প্রতিফলিত হচ্ছে। ‘শিক্ষার মিলন’ (১৯২১) প্রবন্ধের তৃতীয় অনুচ্ছেদে রবীন্দ্রনাথ গল্পের মাধ্যমে কৌশলে বিজ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করেন।