বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর অস্ত্রসহ হামলাকারী এবং ওই ঘটনায় মামলার আসামি মোশারফ হোসেন (২৮) কে ৭ অক্টোবর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোশারফ হোসেন সদর উপজেলার কুসুমহাটি ঘিনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
র্যাব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর এলাকায় আসামি মোশারফ হোসেন সহ অন্যান্য আসামিগণ বে-আইনী জনতাবদ্ধে রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিলের উপর হামলা করে। ওই ঘটনায় মোঃ মন্টু মিয়া (৫৬) বাদী হয়ে শেরপুর জেলার সদর থানায় দুইটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। যাহা শেরপুর জেলার সদর থানার মামলা নং-২৪/৪২৩, তারিখ-২৯/০৮/২০২৪ খ্রি.। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা দায়ের পর আসামিসহ অন্যান্য আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা মামলার এজাহার নামীয় আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এবং স্কোয়াড কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার পলাতক আসামি মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে এবং ওই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
এব্যাপারে আসামী মোশারফ হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শেরপুর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।