স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ বলেছেন, মার্কেট ফর চরস-এমফোরসি প্রকল্পের মাধ্যমে চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। আমরা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি’র মাধ্যমে আরও বড় প্রকল্প নিচ্ছি। সারা দেশের ৩৬ হাজার চরকে নিয়ে ‘আমার চর, আমার পল্লী’ গঠনের মাধ্যমে চরের মানুষের স্থায়ীভাবে ভাগ্য উন্নয়ন করা হবে।
শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকালে রংপুর মহানগরীর টার্মিনাল সংলগ্ন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ছয় তলা-বিশিষ্ট প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয়েছে। এ সরকার রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, ছয় লেনের রাস্তাসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। চরাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে সরকারের উন্নয়নের কথা শুনে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রংপুরের উন্নয়ন হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘উদকনিক’ উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র পুরুষ ও মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ঋণ বিতরণ করেছে, যা উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি উদ্যোক্তাদের গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানান।
এর আগে উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উদকনিক প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত শতরঞ্জি, পাটজাত পণ্য, নানা ধরনের নকশা করা কাপড়ের স্টল ঘুরে দেখেন এবং জিআই পণ্য স্বীকৃত বাহারী রঙের শতরঞ্জির প্রশংসা করেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী।
এরপর উদকনিক প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ অংশ নেন। বিআরডিবি’র মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বলেন, নিজে উদ্যোক্তা হলে চলবে না, অন্যকেও উদ্যোক্তা হতে সহযোগিতা করতে হবে। বিআরডিবির উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। তিনি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন মেলায় প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় বিআরডিবি রংপুরের উপ-পরিচালক রাবেয়া সুলতানা, উদকনিক প্রকল্পের পরিচালক ফেরদৌস মামুন শিমুলসহ সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রংপুরে নবনির্মিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ছয় তলাবিশিষ্ট এই প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্রের ভবন নির্মাণে মোট ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ভবনটিতে রয়েছে বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রশিক্ষণকক্ষ ও ল্যাবরেটরি।