সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

নেছারাবাদে দিনে দুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও খুন

সোহেল রায়হান, নেছারাবাদ (পিরোজপুর) / ১৩ বার
আপডেট সময় :: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডে সুটিয়াকাঠি ভয়েস স্কুল সংলগ্ন স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ এনামুল হক মিলন মাস্টারের দ্বিতল ভবনে আনুমানিক দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও খুনের ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির সময় ডাকাতরা এনামুল হক মাস্টারের বৃদ্ধ মা শেফালী বেগম (৭০) কে রশি দিয়ে হাত পা বেধে মুখে বস্তা পেচিয়ে হত্যা করে এবং ঘরের বিভিন্ন রুম তছনছ করে নগত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন দামীও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ভবনটিতে স্বরুপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমির শিক্ষক মোঃ এনামুল হক মিলন ও তার ভাই রিয়াজ তাদের স্ত্রী সন্তান ও তাদের বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসবাস করেন। সকাল ১০ টার পর থেকে এনামুল মাস্টারের বৃদ্ধ মা শেফালী বেগম ঘরের ভিতর একা ছিলেন। শেফালী বেগমের নাতি চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্র তাহজিদ (১০) তখন মাদ্রাসায় এবং ছেলেদের স্ত্রীরা চাকরির সুবাদে কর্মস্থলে ছিলেন। তার ছেলেররাও চাকরির সুবাদে কর্মস্থলে ছিলেন। সেই সুযোগে ডাকাতেরা বৃদ্ধা শেফালী বেগমকে হত্যা করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার সহ দামীও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

এনামুল মাস্টারের ছেলে তাহজিদের ভাষ্যমতে, আমি মাদ্রাসায় ছুটি হওয়ার পর একটা সময় আমাদের বাসায় এসে দেখতে পাই প্রত্যেকটি রুম তছনছ করা এবং একটি রুমে তার দাদি শেফালী বেগমকে দোলনার দড়ি দিয়ে হাত পা বাঁধা এবং একটি বস্তা দিয়ে মুখ আটকে ফেলে রাখা। তখন আমি দাদির মুখের বস্তাটি খুলে তাকে নাড়াচাড়া দিলে সে কোন সারা শব্দ না দিলে আমি বাড়ির আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করি।আশেপাশের লোকজন এসে আমার মা-বাবাসহ নেছারাবাদ থানায় খবর দেন।নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ- বনি আমিন, এএসপি- নেছারাবাদ সার্কেল সাবিহা মেহবুবা সহ বিভিন্ন অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শেফালী বেগমের ছেলের বউ শ্রাবণী বলেন আমি আমার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পর আমার বাসার সবকিছু এলোমেলো দেখি এবং আমার ছেলে তাজিদের কাছ থেকে সবকিছু শুনি। ডাকাতরা শুধু ডাকাতি করেনি তারা আমার শাশুড়িকে হত্যা করে ভবনের সকল রুম তছনছ করে স্বর্নালঙ্কার সহ টাকা-পয়সা ও দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

ছেলে এনামুল হক ও ছেলের বউ শ্রাবন্তী সহ পরিবারের সকলে প্রশাসনের কাছে শেফালী বেগমের হত্যার বিচার দাবি করেন।

এমতাবস্থায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে নেসরাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন দৈনিক আমাদের দিনকে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনায় নেছারাবাদ থানায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ / মামলা হয়নি। অভিযোগ বা মামলা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!