সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী রৌমারীতে ১০ কেজি গাঁজাসহ সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ কামারখন্দে জাহানারা মনছের একাডেমি স্কুলে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে বাঁচাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ক্রীড়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে-বরকত উল্ল্যা বুলু সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বেলকুচিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ব্লাড গ্রুপ টেস্ট, ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও ব্লাড ডোনেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত দীর্ঘদিন পর হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের যাতায়াত রাস্তা সংকটের সমাধান হতে যাচ্ছে ডুমুরিয়ায় টিসিবির স্মার্ট কার্ড পায়নি বিশ হাজার সুবিধাভোগী পরিবার আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আমরা বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই- মাওলানা এটিএম মাসুম বেস্টওয়ে ইংলিশ অ্যান্ড বিজনেস ইনকিউবেশন’র পিঠা উৎসব

অনিয়মের আঁতুড়ঘর সিবিআইইউ-১: বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শহিদুল, অনিয়মই যার কাছে নিয়ম!

বিশেষ প্রতিবেদক / ৬৯ বার
আপডেট সময় :: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ১:৪৩ অপরাহ্ন
অনিয়মের আঁতুড়ঘর সিবিআইইউ-১: বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শহিদুল, অনিয়মই যার কাছে নিয়ম!

কক্সবাজারের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানান অনিয়মের মধ্য দিয়েই সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। নানা অনিয়ম-অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি থেকে তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন ও হাতে আসা বিভিন্ন প্রমাণাদি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘অনিয়মের আতুড়ঘর সিবিআইইউ’।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এর দায়িত্ব পালন করছেন মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। যিনি যোগদান করেন ২০২২ সালের আগস্টে। যার নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হয়নি নিয়মের বালাই। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা জীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণী গ্রহণযোগ্য না থাকলেও শহিদুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে বি.কম পাস করেছেন ৩য় বিভাগ নিয়ে।

ইউজিসির প্রতিবেদনেও উঠে আসে কর্মকর্তা নিয়োগে এমন অনিয়মের বিষয়টি। ২ মাসের মধ্যে এসব বিষয় সুরাহা করার নির্দেশনা থাকলেও স্বপদে বহাল আছেন শহিদুল।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কোনো ধরনের ক্রয় কমিটি ছাড়াই শহিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে থাকেন। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের একান্ত অনুগত হওয়ায়, কাউকে তোয়াক্কা করেননা তিনি। যার কারণে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ হলেও তার বিষয়ে কথা বলেন না কেউ।

একসময় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শহিদুল শিক্ষার্থীদের সাথে ন্যূনতম সৌজন্যতা রেখে কথা বলেন না। এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, সেমিস্টারের মধ্যবর্তী পরীক্ষার আগে আমার মেয়েকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়, তখন আমি সময় চাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে গেলে শহিদুল ইসলাম চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে দরিদ্র কোটা থাকলেও সেখানে কাউকে ভর্তি করানো হয়না।

সামগ্রিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি দেখা করার কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!