শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
টেকসই উন্নয়ন অর্জনে দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো সাসটেইনাবিলিটি সামিট ২০২৪ ঘুস, দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে কারাগারের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিকদের জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেরপুরে ক্রয়কৃত জমিতে ধান রোপণে বাঁধা, হামলায় আহত ২ তাহলে কমলাই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট! এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া নোয়াখালীতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে সাবস্টেশনে ছাত্রদের হামলা সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, ২৭৯ সিমকার্ড ও ৭৬ মোবাইলসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক টেলিটকের সেবার মান উন্নত করার নির্দেশ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

এবি ব্যাংকের কারসাজিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ গোপন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬ বার
আপডেট সময় :: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪, ১:৩৭ অপরাহ্ন
এবি ব্যাংকের কারসাজিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ গোপন

খেলাপি ঋণের তথ্যে ব্যাপক কারসাজি করেছে দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক পিএলসি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটি গত বছরের আর্থিক বিবরণীতে খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ দেখিয়েছে, তা প্রকৃত খেলাপির চেয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা কম। এর মধ্য দিয়ে বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন করেছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর শেষে এবি ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। তার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ঋণের ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। কিন্তু এবি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যে আর্থিক বিবরণী দিয়েছে, তাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সে হিসাবে এবি ব্যাংক খেলাপি ঋণ কম দেখিয়েছে ১৬ হাজার ১০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজাল বলেন, ‘আমাদের মন্দ ঋণ রয়েছে। ঋণ আদায়ে চেষ্টা চলছে। তবে এটি ৬৭ শতাংশ তা ঠিক না। নিজেদের লোক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা যাচাই করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভালোভাবে অডিট করেছে। এত বড় হিসাবের গরমিল হওয়ার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে কোথাও বড় একটা ভুল হচ্ছে। আর পালাবদলে ঋণ আদায় হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এবি ব্যাংকের ৩১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড (গুণগত ভালো মানের) ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা বা ৩২ দশমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু এবি ব্যাংকের দেখানো হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৭১৬ কোটি বা ৮১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সে হিসাবে ব্যাংকটি স্ট্যান্ডার্ড ঋণ বেশি দেখিয়েছে ১৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে গুরুতর কারসাজির এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখিয়েছে, এবি ব্যাংকের এসএমএ (অনাদায়ি কিন্তু খেলাপি দেখানো হয়নি) ক্যাটাগরিতে ঋণের পরিমাণ ১২৭ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।

যদিও ব্যাংকটির দেওয়া হিসাবে এসএমএ ঋণ ৬১৭ কোটি বা ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ দেখানো হয়। এ ক্ষেত্রেও ব্যবধান ৪৯০ কোটির। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে, এবি ব্যাংকের নিম্নমানের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। কিন্তু এবি ব্যাংক দেখিয়েছে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ব্যবধান ২ হাজার ৫৪১ কোটির টাকা টাকা। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে আদায় অনিশ্চিত এমন ঋণের পরিমাণ ৫০৯ কোটি বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটি দেখিয়েছে ২৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা দশমিক ৮৪ শতাংশ। ঋণের এই ক্যাটাগরিতে গোপন করা হয় ২৪২ কোটি টাকার হিসাব।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন পরিদর্শন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রুটিন কাজ। আবার ব্যাংকগুলোর অডিট প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যালান্সশিট তৈরি হয়। কেউ নিয়ম ভেঙে ব্যাংক চালাতে পারবে না। আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!