পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট দেশের ১৪ কোটি মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ১০ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের শুরু থেকে গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর মামলা-গ্রেফতার ও বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতির প্রেক্ষিতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাম জাবেদ, মো. হাসানুজ্জামান, ইয়াছির আরাফাত, কৌশিক দেবনাথ, মো. জাফর সাদিক খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বার্তা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার বৈষম্যবিরোধী সরকার। অন্যান্য সেক্টরের মতো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সংস্কারে সরকারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়েছে। সরকার গঠিত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও তাদের সব কর্মসূচি এরই মধ্যে প্রত্যাহার করেছে এবং সরকার কর্তৃক কমিটি গঠনের পর আর কোনো আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এরই মধ্যে চেয়ারম্যান আরইবিতে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ রুপান্তর কোন পথে? সেমিনারে এবং বিভিন্ন পবিস পরিদর্শনে সব ভেদাভেদ ভুলে আমি তুমি নয় আমরা হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। চেয়ারম্যানের এ ঘোষণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্ম-পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে পবিসের কর্মরতরা।
তবে এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুটি দাবি রয়েছে। দাবি হলো–
১. সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মামলার জামিন ও মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল এবং অন্যান্য বরখাস্ত, সংযুক্ত, স্ট্যান্ড রিলিজসহ শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি প্রত্যাহারপূর্বক কর্মস্থলে পদায়ন করা এবং নতুন করে কাউকে শাস্তির আওতায় না আনা।
২. আরইবি পবিস বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কারপূর্বক একীভূতকরণে সহযোগিতা করা এবং সমিতিতে বৈষম্য নিরসনে যেসব কমিটি কাজ করছে সেগুলোর কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেহেতু চেয়ারম্যান বৈষম্যবিরোধী প্রত্যয় ধারণ করেন এবং আমরা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তাই আরইবি এবং সমিতির অভিভাবক হিসেবে উপযুক্ত দুটি বিষয়কে চেয়ারম্যান অবিলম্বে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে উপযুক্ত কর্ম-পরিবেশ ফিরিয়ে দেবেন বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণ আশাবাদী।