সাম্প্রতিক সময়ে শেরপুর জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের তথ্য ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন শেরপুর জেলার কৃতি সন্তান সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক ও শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ।
এ উপলক্ষে রোববার (২০ অক্টোবর) তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রাণি, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবদের কাছে শেরপুর জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন।
এসময় সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক মন্ত্রণালয়ের কাছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিজস্ব মনিটরিং ও অস্থায়ী সমাধানের জন্য আলাদা সেল গঠনের প্রস্তাব করেন। সেইসাথে মন্ত্রণালয়ে বন্যা দুর্গতদের সমস্যা ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি জানান, বন্যায় কাঁচা-পাকা আবাসিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ হাজার। টাকার পরিমাণে যা দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে ৩১ হাজার ২৮৬ হেক্টর জমির এবং সবজির ক্ষতি হয়েছে ৮৬০ হেক্টর জমির।
মোট কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৫ জন। টাকার পরিমাণে যা দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা।
মৎস চাষে মোট ক্ষতি ৭০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ৩২ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির চাষকৃত মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।
এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, তিন ক্যাটাগরিতে (উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ) মোট ৪০৯ কি.মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৮টি ব্রিজ ও ৫০টি কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, মোট ২৭ কি.মি. সড়ক, ৪টি বড় ব্রীজ ও ৩ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসময় আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, সরকারি হিসাবকে আমি গতানুগতিক, দৃশ্যত ও অনুমান নির্ভর বলে মনে করি। গণমাধ্যমের চোখে এই হিসাবের বাইরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের পর্যবেক্ষণে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
শেরপুর জেলার বন্যাকবলিত মানুষের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও পুনর্বাসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি দাবি জানান।