ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার ৯ নভেম্বর ২০২৪ রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফেদিয়ারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলা ও লুটপাটকারীরা হলেন, বাবুল, খোকন, মঞ্জু, উজ্জ্বল, তোফাজ্জল, ফায়েজুল ও কবির।জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চাতলপাড় বড় বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ফেদিয়ারকান্দি গ্রামের হাজী শহিদুল্লা ভূইয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ। একই বাজারে ব্যবসা করে একই গ্রামের বাবুল টেলিকমের মালিক বাবুল ভূইয়া। প্রায় ১০ মাস আগে নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে কয়েক দফায় প্রায় ২২লাখ টাকা ধার নেয় বাবুল। পরে ধারের টাকা ফেরৎ চাইতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি। কয়েক দফা তারিখ দিয়েও টাকা দেয়নি বাবুল। পরে চাতলপাড় বাজার শাখা সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ১০লাখ ও ১২ লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করে বাবুল। যে চেক ব্যাংকে ইস্যু করার পর দেখা যায় বাবুলের একাউন্টে কোন টাকা নেই। বিষয়টি নিয়ে বাবুলকে উকিল নোটিশ পাঠায় নূর মোহাম্মদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার রাতে বাবুল ও তার ভাইয়েরা মিলে হামলা চালায় নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। লুট করে নিয়ে যায় নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণ।
নূর মোহাম্মদের পিতা হাজী শহিদুল্লা ভূইয়া বলেন, আমার ছেলের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়েছে বাবুল। আমার ছেলে এজেন্ট ব্যাংকিং চালায়। টাকা চাইলে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গতরাতে বাবুলসহ ওর ভাইয়েরা মিলে আমার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে দেড় লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে।নূর মোহাম্মদের বড় ভাই নাজির আহাম্মদ বলেন, আমরা ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বাবুল। টাকা চাইলে দুটি চেক দেয়৷ কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখি কোন টাকা নেই। এজন্য আমরা উকিল নোটিশ করেছি।উকিল নোটিশ করার কারনে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে বাবুল ও তার লোকজন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।নূর মোহাম্মদের বোন শিউলি বেগম জানায়, হঠাৎ রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় বাবুলের লোকজন। আমরা প্রাণের ভয়ে পাকা ঘরে আশ্রয় নেই। এসময় ওরা আমাদের ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল ভূইয়া জানায়, নূর মোহাম্মদ প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়।চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরির্দশক মো. মফিজ উদ্দিন জানান, রাতে খবর পাওয়ার সাথে সাথে সাথেই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।এখনও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।