- Sherpur24 - https://sherpur24.com -

ঝিনাইগাতীতে জারুলতলা খালের উজানে বাঁধ

ঝিনাইগাতীতে জারুলতলা খালের উজানে বাঁধ

ভাটি এলাকার অর্ধশতাধিক একর জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের জারুলতলা খালের উজানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ভাটি এলাকার শতাধিক কৃষকের অর্ধশতাধিক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বিএডিসি সেচ প্রকল্পের সেচের পানিতে জারুলতলা খালের অর্ধশতাধিক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেন ওই এলাকার শতাধিক কৃষক। গত ৬ বছর ধরে কৃষকরা তাঁদের জমি চাষাবাদ করে উৎপাদিত ফসলে তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এলাকার কৃষকরা। চলতি বছর ওই সেচ প্রকল্পের পাশে খালের উজানে জারুলতলা গ্রামের কারিমুল ইসলাম নামে একব্যক্তি একটি সাবমারস নলকূপ স্থাপন করে। জানা গেছে, কারিমুলের নিজস্ব কোন জমিজমা না থাকলেও বানিজ্যিকভাবে অন্যের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য বিএডিসি অবৈধভাবে উক্ত সেচ পাম্প স্থাপনের অনুমতি দেয়।

আর উক্ত অনুমতি পাবার পর কারিমুল ইসলাম খালের উজানে ভাটি অঞ্চলে পানি যাতায়াতের প্রবেশ পথে একটি বাঁধ নির্মাণ করে। কৃষকরা জানায়, এখানে কারিমুল ৫ একর জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। আর ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভাটি এলাকার অর্ধশতাধিক একর জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। জমিতে সেচ দিতে না পারায় বোরো মৌসুমে কৃষকদের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তাদের জমিতে বোরো আবাদ না হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। এব্যাপারে বিএডিসি সেচ প্রকল্পের সত্ত্বাধিকারী খালেক সাইফুল্লাহ জানান, কারিমুল ইসলামের দেয়া বাঁধ অতিক্রম করে উচু এলাকায় তার পক্ষে পনি দেয়া সম্ভব না। কারিমুলের সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়ি যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

অবৈধভাবে কারিমুল ইসলাম সেচের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে বিএডিসি’র মাঠ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি মাঠ পরিদর্শন করে তার আবেদনটি বাতিল করে দিয়েছি। তবে আমি ৩ মাস প্রশিক্ষনে থাকাকালীন সময়ে অন্যকেউ অনুমতি দিতে পারে তা আমার জানা নেই। অপরদিকে এর প্রতিকার চেয়ে এলাকার কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি সুরাহার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।