শেরপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীকে অন্যায় ভাবে বাঁধা প্রদান এবং সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের উপর ন্যাক্কারজনক দুঃসাহসিক হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের পরে স্মরকলিপি প্রেরণ করেছেন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শেরপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতি পালন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে সাংবাদিকগণ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের দাবী উত্থাপন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ।
বক্তারা বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে ডা. সেলিম মিয়াকে শেরপুর থেকে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি ও তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ ও ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞাকে অপসারণের দাবীতে সিভিল সার্জন বরাবর স্মরকলিপি প্রেরণ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও কর্মবিরতি কর্মসূচিতে শেরপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ জেলা সদরে কর্মরত সাংবাদিকগন, নকলা প্রেস ক্লাব পরিবারের পক্ষে ক্লাবটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন ও নূর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম লালন, প্রচার সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজনসহ শেরপুর সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত গোপন এক অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞা সাংবাদিকদের উপর ন্যাক্কারজনক দুঃসাহসিক হামলা চালায় ও সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন। এর পর থেকেই সাংবাদিক মহলে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।