সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬ নং বড়ধুল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ আয়নাল হক প্রামানিক কে মারপিটের ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ খালেক মেম্বার (৫০) কে গ্রেফতার করেছে বেলকুচি থানা পুলিশ প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৮ই নভেম্বর দুপুরে বেলকুচি উপজেলা মুকন্দগাঁতী বাজারস্থ জনৈক শহিদুল ইসলাম এর চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপরে আসা মাত্রই খালেক মেম্বার তার বাহিনী নিয়ে ইউপি সদস্য আয়নাল হক কে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে, এমতাবস্থায় তার ডাক চিৎকারে লোকজন আগাইয়া আসিলে তাদের সহযোগিতায় বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এবিষয়ে আহত ইউপি সদস্য মোঃ আয়নাল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ১৮ নভেম্বর আমার নিজ বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সময় মুকন্দগাঁতী পাকা রাস্তার উপরে খালেক মেম্বার ও তার দলবলসহ আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে, কিন্তু তার সাথে আমার কোন শত্রুতা ছিলনা, আমাকে কেন মারপিট করেছে আমি জানিনা, তবে আওয়ামী শাসনামলে তার গুন্ডামী করাই তার পেশা ছিল, নিরহ মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার চাঁদাবাজি মারপিট, টাকার বিনিময়ে দরবার শালিশের নামে মানুষকে হয়রানি করাই ছিল তার নিত্যদিনের কাজ, আওয়ামী সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু এই গুন্ডা এখনো তার অবৈধ কর্ম কান্ড চালিয়েই যাচ্ছে। সেই পাওয়ারে আমার উপর অতর্কিত হামলা করেছে, এমনকি আমার পকেটে থাকা ব্যবসার ৪৫ হাজার টাকা পাঞ্জাবির পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়, টাকা নেওয়ার বিষয়ে ঘটনাস্থলে অনেকেই জানে বা দেখেছে, পরে আমি বেলকুচি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তাদের ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন জানান, ইউপি সদস্য আয়নাল হককে মারপিটের ঘটনায় অজ্ঞাতসহ ১০/১২ জনের নামে থানায় একটি মামলা হয়েছে, মামলার আসামি খালেক মেম্বার কে গ্রেফতার করে সিরাজগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে খালেক মেম্বারের বিরুদ্ধে এই থানায় আরও অন্যান্য মামলা রয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।