পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিম বুইচাকাঠী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামসুল হক হাওলাদার। দীর্ঘ ৬ বছর প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শায়িত। কোন প্রকার নড়াচড়া করতে পারেন না তিনি। এই সুযোগে এলাকার একটি কুচক্রী মহল ফুলজান বিবি ও তার মাদকাসক্ত ছেলেরা পেশিশক্তি প্রয়োগ করে শামসুল হক হাওলাদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার দলিল মূলে মালিক বিএস রেকর্ডিয় সম্পত্তি ৭২ শতাংশ ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে।
গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল শেখ জানান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামসুল হক একজন নম্র ভদ্র এবং ভালো মানুষ। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। আমরা সকলেই জানি তারপরও ফুলজান বিবি বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার মাদকাসক্ত ছেলেদের দ্বারা জমি দখলের চেষ্টা করে ত্রাসের সৃষ্টি করছে। তাদের জন্য আমরা এলাকাবাসী আতঙ্কিত।
ফুলজান বিবির মাদকাসক্ত ছেলেরা বিভিন্ন মামলার আসামি। অনেকের জমি দখলের চেষ্টা করেছে।
শামসুল হকের ছোট ছেলে সাঈদ বলেন, আমার বাবা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। আমরা দুইভাই ঢাকায় চাকুরি করি। গ্রামের বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে আমার বাবা ও চাচার নামে দলিল, রেকর্ড সবই থাকার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও চাঁদা দাবিসহ জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। বাবার চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু গাছপালা রোপণ করা হয়েছিল যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। এগুলোও তারা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি গাছগুলো আমরা বিক্রিও করতে পারছি না। ফুলজানবিবি ও তার ছেলে এজাবুল ওরফে গাজা ইজু, এস্রাফিল গং গাছের ক্রেতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সরে যেতে বলে।
মামলার নথিতে দেখা যায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামসুল হক হাওলাদারকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে তিনি জোরপূর্বক ফুলজান বিবির দখলে থাকা গাছপালা কর্তন করেছেন। কিন্তু সরেজমিনে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন একজন প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি কি করে অন্যের গাছপালা কর্তন করতে পারে। এর দ্বারা বোঝা যায় মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।