ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতোলা গ্রামে বিয়ের ঘটনার জেরধরে,পূর্ব শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমা কে কেন্দ্র করে ৫ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় সালাম মেম্বার ও তার লোকজন বাড়িতে উঠে গিয়ে ৮০ বছর বয়স্ক ছিদ্দিক মোল্লা নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে হত্যা করা হয়েছে। ৭০ বছর বয়স্ক আক্কল মিয়া নামের আরো একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ওই ঘটনায় ৭ নভেম্বর সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য সালাম মিয়া সহ ৩২ জনের নামে নাসিরনগর থানার হত্যা মামলা নং ১৩/২৪ দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা সব পালিয়ে গেছে। হত্যা মামলা ছাড়াও ইউপি সদস্য সালামের বিরোদ্ধে হত্যা ছাড়াও বিস্ফোরক,মন্দির ভাঙ্গা ও ছিনতাই,মারামারির ঘটনায় আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ওই ঘটনার সুবিচার ও খুনীদের ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় নারী পুরুষ মিলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।
সরেজমিন এলাকায় গেলে স্থানীয়রা গ্রামের এক মসজিদের ইমাম সাইফুলের সাথে সালাম মেম্বারের মেঝো মেয়ে শাহীনুরের গত ৭ মে ২০২৩ তারিখে বিয়ে হয়। কিন্তু সালাম মেম্বার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। পরে সালাম মেম্বার তার মেয়েকে দিয়ে সাইফুলকে ডিভোর্স দেওয়ায়। এই নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে মনোমালিন্য চলতে থাকে। সালাম মেম্বার শক্তিশালী গোষ্টির লোক। তাই ওই ঘটনার জের ধরে গত ১১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সাইফুলকে সালাম মেম্বারের বাড়ির পাশে পেয়ে মারতে গেলে এ সময় সাইফুলের মা তাতে বাধা দিলে সালাম মেম্বার ও তার লোকজন মিলে সাইফুলের মাকেও চর থাপ্পর মারে। ওই ঘটনায় সাইফুল বাদী হয়ে সালাম সহ ৫ জনের বিরোদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে চান মিয়া ও সবুজ মিয়া বিয়ের বাজার করার জন্য নৌকা যোগে রওনা দিলে সালাম মেম্বার তার লোকজন নিয়ে তাদের আটক করে লাথি মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে তাদের সাথে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় মিজান মিয়া বাদী হয়ে ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সালাম মেম্বার সহ ১০ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানার মামলা নং১২ দায়ের করে।
হত্যার ঘটনার পর আসামীদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে ও খোঁজ নিতে সালাম মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে সালাম মেম্বারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান,আসামীদের মালামাল তাদের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে তারাই নিয়ে গেছে। এমন ভিডিও চিত্রও এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
মুঠোফোনে ভাংচুর লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকির হোসেন বলেন ঢাকা,চট্রগ্রাম থেকে কিছু বহিরাগত লোকজন এসে কিছুটা করেছে আবার তারা নিজেরাও অনেকে তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে।