পুষ্প ইকো সিটি প্রজেক্টের চলমান উন্নয়ন পরিদর্শন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লি. এর ডিরেক্টরগণ আজ (৭ নভেম্বর) পুষ্পধারার প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুষ্পধারার চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির), ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ আলীনূর ইসলাম, ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) মইন উদ্দিন খান, ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স) ফয়সাল আহমেদ খান, পুষ্প হোমস লি. এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম (মমিন মিয়াজী), ডিরেক্টর (মার্কেটিং এন্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসিবুল হক মামুন, ডিরেক্টর (এইচআর) আতিকুর রহমান মিন্টু, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) এনামুল হক, ডিরেক্টর কামরুল আলম রীয়াজ, ডিরেক্টর (আইটি) জুলফিকার হাসনাত, পুষ্প হোমস লি. এর ডিরেক্টর সৈয়দ মাসুদুর রহমান, ডিরেক্টর তুষার দেওয়ান, প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় তারা পুষ্প ইকো সিটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।
ভাইস চেয়ারম্যান শাশ্বত মনির বলেন, নগর জীবনের সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পদ্মা ইকো সিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রজেক্টের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পুষ্পধারার এই উন্নয়ন দেশ ও জাতির স্বার্থে উৎসর্গ করলাম।
তিনি আরও বলেন, একটি সুন্দর ও নিরাপদ আবাসন মানুষের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে একজন মানুষ হয়তো তার সর্বোচ্চটুকুই বিনিয়োগ করেন। আর তাই মানুষের এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতেই আবাসন শিল্পে কাজ করছে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড।
সৈয়দ আলীনূর ইসলাম বলেন, পুষ্পধারা গ্রাহকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। একটি ব্র্যান্ড কোম্পানি হিসেবে আমরা সব সময়ই গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং গ্রাহকের সুযোগ সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আবাসন কোম্পানি হিসেবে পরিবেশবান্ধব নির্মাণে আধুনিকত্বের ছোঁয়া থাকবে। এছাড়া সরকারি সকল নিয়ম-কানুন ও নীতিমালা অনুসরণ করেই আমাদের এই প্রকল্প গড়ে উঠছে।
কেয়টখালী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ আব্দুল লতিফ মাস্টার বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে পুষ্পধারা আবাসন কোম্পানি হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় হবে, যোগাযোগের উন্নয়ন হবে। এই উন্নয়নের স্বাদ আমরা এলাকাবাসীই বেশি ভোগ করবো। উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা পুষ্পধারাকে ধন্যবাদ জানাই।
পুষ্পধারার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে কেয়টখালীবাসী শাহীন দেওয়ান বলেন, পুষ্পধারার উন্নয়ন মানে আমাদের উন্নয়ন, গ্রামের উন্নয়ন। আমরা পুষ্পধারার এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানাই।
উল্লেখ্য আবাসন খাতে ক্রেতাদের কাছে আস্থার নাম পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড। গ্রাহকদের জন্য মডেল আবাসন ব্যবস্থার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই আবাসন কোম্পানিটি।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় পদ্মাসেতুর নিকটবর্তী ষোলঘর, ওমপাড়া, কেয়টখালী মৌজায় গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড।
প্রকল্পটি খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাকারী, স্থপতি এবং প্রকৌশলীদের একটি দল দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। জীবনযাত্রার পরিবেশ উন্নত ও সুবিধাজনক করার জন্য আবাসিক এবং বাণিজ্যিক বিবেচনার একটি মিশ্রণ প্রস্তাবিত জনপদের সামগ্রিক বিন্যাসে রাখা হয়েছে।
পুষ্পধারা সব পেশার মানুষের দ্রুত বর্ধমান আবাসন চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যা বর্তমানে একটি সফল আবাসন প্রকল্প হিসেবে রূপ নিয়েছে।
পুষ্পধারার আবাসন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় প্রতিনিয়ত গ্রাহকের ব্যবসা বা ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি বৃদ্ধির সুযোগ প্রসারিত হবে।
প্রকল্পের মধ্যে থাকছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। থাকবে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সুবিধা। প্রকল্পের অভ্যন্তরে থাকছে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্তর্জাতিক মানসম্মত খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম। থাকবে নামকরা হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক মানসম্মত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
থাকবে লিফট, এস্কেলেটর, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং প্রতিটি ব্লকের জন্য পৃথক গাড়ি পার্কিংসহ অত্যাধুনিক সুবিধাসংবলিত মাল্টিস্টোরিজ শপিংমল, লেক, আধুনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত চিলড্রেনস পার্ক। আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার, লেডিজ ক্লাব, থিয়েটার ও সিনেমা হল, বিনোদনমূলক উদ্যান এবং সুইমিংপুল এখানকার বাসিন্দাদের দেবে আধুনিক নানা সুবিধার নিশ্চয়তা।