সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক বকচর গ্রামের শহিদুল ইসলাম সরদার, আব্দুল্লাহ সরদার ও আমানুল্লাহ সরদারের বিরুদ্ধে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুট পূর্বক দোকানঘর জবরদখল, মারপিট ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একই ইউনিয়নের মাড়িয়ালা গ্রামের মোঃ এবাদুল গাজীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (এনছান) এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মাড়িয়ালা সেটবাজারের এনছান গার্মেন্টস এন্ড ভ্যারাইটি স্টোর নামে আমার একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। গত ৫ আগষ্ট সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। তারা দরজা ভেঙে দোকানে রক্ষিত সমুদয় মালামাল ও নগদ ৫৫ হাজার টাকাসহ ১০ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকার মালা,মাল নিয়ে যায়। এঘটনার পর ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুনরায় তারা আমার দোকন ঘরে ঢুকে লেপ-তোষক, কাঁথা-বালিশ, মালের চালান ও জরুরী কাগজপত্র বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। ফের ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে যুবদল নেতা শহিদুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা মাড়িয়ালা সেটবাজারের মধ্যে আমাকে নির্মমভাবে মারপিট করে। এসময় সে হুমকার দিয়ে বলতে থাকে যে, আমি বি.এন.পি যুবদদের সভাপতি আমার দলের অর্ডার আছে-আমি ২/৪টি খুন করলেও কোনকিছুই হবে না।
শহিদুল ইসলাম এনছান অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ আগষ্ট বুধবার রাত আনুমান ১১টার দিকে যুবদল নেতা শহিদুলসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয় বাক্তিরা পুনঃরায় আমার দোকানে এসে ৮টি চৌকিখাট, ৪টি শোকেচ, ৪টি র্যাক, কাঁচের শোকেড ৩টি ও ১টি সোলারের ব্যাটারী লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। দোকান থেকে আমাকে বের করে দিয়ে বর্তমান সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে যুবদলের পার্টি অফিস করেছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম দলের নাম ভাঙিয়ে ও প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা তার ভাই পরিচয় নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। শহিদুলের বিরুদ্ধে আশাশুনি থনা ও সেনাবাহিনী দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও আশাশুনি উপজেলা যুবদল ও সমন্বয়ক জেলা যুবদলের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি সন্ত্রাসী শহিদুল ও তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এবং মালামালসহ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনছান গার্মেন্টস এন্ড ভ্যারাইটি স্টোরের দখল ফিরে পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সেনা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা বিএনপি ও জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরহস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে তিনি সন্ত্রাসী শহিদুল বাহিনীর সদস্যদের বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরার উপস্থিত ছিলেন।