অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার পরিবারতন্ত্রে পরিণত করেছে ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজকে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভাই, ভাইপো, শ্যালক, ভাগ্নী জামাইসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। পরিবার পরিজন দিয়েই আরাম আয়েশে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার।
অধ্যক্ষ জি এম সাত্তারের আপন ভাইপো হুমায়ুন কবীর বি এল কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স ও এম এ পাস করেছেন। পূর্বে তাকে অর্থনীতি ও বানিজ্যিক ভু’গোল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেখানো হয়। বর্তমানে আবার তাকে সমাজ কর্মে নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
অভিযোগকারী ৪ শিক্ষক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন কুমিল্লা থেকে জাল সার্টিফিকেট এনে জমা দেওয়া হয়েছে সমাজ কর্মে নিয়োগ পেতে। ২০১৮ সালের ২৮ আগষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরীরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক বাদুড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম। অধ্যক্ষের আপন শ্যালক হাবিবুর রহমানকে সেই ইতিহাসে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালে অধ্যক্ষের আপন বোনের ননদ শিল্পুন নাহার এর বয়স ছিল ৪০ বছর। তাকে অফিস সহায়ক পদে ২০১৮ সালে অবৈধ্য ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অধ্যক্ষের আপন ভাগ্নী জামাই কাঠালতলার আব্দুর রাজ্জাক ১৫ বছর বেসরকারি সংস্থা ব্রাকে কর্মরত ছিলেন। অথচ তাকে পৌরনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে সম্পূর্ন অবৈধ্যভাবে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। অধ্যক্ষের ভাই জি এম আল আমিনকে পিয়ন পদে বিধি বর্হিভ’তভাবে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিও ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া দূর সম্পর্কের অনেক ভাই, ভাইপো, জামাইসহ একাধিক আত্মীয়কে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়েছেন সুচতুর অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার। আর তার এসব কাজে অগ্রভাগে থেকে সহযোগিতা করেছেন আপন ভাগ্নী জামাই প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক। মাত্র কয়েক দিন আগেও ওই ভাগ্নী জামাই এবং অধ্যক্ষ একটি ভ’য়া এমপিও ভুক্তির চিঠি দেখিয়ে এক মহিলা প্রভাষকের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে পৃথক তদন্ত কমিটিকে একিভ’ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটিমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আরাফাত হোসেনকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, সকল অভিযোগের তদন্ত করে একটি পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।