শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা করে ভাঙচুর লুটপাট ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পালিয়ে গেছে কারাগারে আটক থাকা ৫২৭ বন্দী। ৫ আগস্ট সোমবার বিকেল এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ৪ আগস্ট রোববার বিকেলে শহরের খরমপুর এলাকায় প্রশাসনের গাড়িচাপায় ও গুলিতে পাঁচজন নিহতের জেরে ৫ আগস্ট সকাল ১১ টা থেকে শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। শেরপুর সদর থানাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শেরপুর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। পরে বিকেল জেলা কারাগারে হামলা করে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালায় তারা। এ সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৫২৭ জন আসামি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল খায়রুম কারাগারে ভাঙচুর, লুটপাট ও বন্দী পলায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় কারাগারে থাকা সকল আসামি পালিয়ে গেছে।