প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারী ও কিশোরীদের মানবাধিকার ও সামাজিক অংশগ্রহণ শক্তিশালী কর তে রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) এর ‘হোপ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে সংস্থাটির সাতক্ষীরা এরিয়া অফিস এ প্রকল্প অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে। রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ দাশের সঞ্চালনায় অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, বিএডিসি সাতক্ষীরার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল হাফিজুল আল মাহমুদ, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভারতেশ^রী বিশ^াস, সুন্দরবন কলেজ অ্যান্ড বিজনেস টেকনোলজির প্রভাষক মাহফুজা পারভীন, আহসানিয়া মিশন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলতাফ হোসেন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. আল মাহমুদ পলাশ ও বিশিষ্ট্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামীমা পারভীন রত্না।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) এর এরিয়া সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন। হোপ প্রকল্পের কার্যক্রম, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ দাশ। তিনি জানান, প্রকল্পটি দেশের ৬টি জেলার ১২টি উপজেলায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও তালা উপজেলায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। হোপ প্রকল্পের বিষয়ে তিনি উপস্থাপন করেন, নারী, কিশোরী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার, সম্পদ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য মানবাধিকার কর্মী ও কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ প্রকল্পটি বাসত্বায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৬টি জেলায় এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রান্তিক গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং সরকারী কর্তৃপক্ষকে (এলএ) শক্তিশালীকরন ও তাদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ স্থাপন করাই তাদেও লক্ষ্য।
এছাড়া তাদের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ১০,০৯০ জন যুব এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানবাধিকার রক্ষাকর্মী (এইচআরডি) এবং ১,৪৯০ জন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি যৌথভাবে কর্ম এলাকায় এবং জাতীয় পর্যায়ে নারী, কন্যাশিশু এবং ধর্মীয়, আদিবাসীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সম্পদ নিশ্চিতকরণে এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে। হোপ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০,০৯০ জন যুব এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানবাধিকার রক্ষাকর্মী (এইচআরডি) ১২টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে মানবাধিকার রক্ষায় শক্তিশালী এবং সক্ষম হবে এবং ৬টি জেলায় ৭২টি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ২৩৪ টি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনে মানবাধিকার এবং সম-সামাজিক অংশগ্রহণের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য যুব এবং প্রাপ্ত বয়স্ক এইচআরডি সংগঠিত হবে। এছাড়া কর্মরত জেলাগুলির মানবাধিকার রক্ষাকর্মী (এইচআরডি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (এলএ) এর সাথে যৌথ পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করবে এবং সক্রিয়ভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় এ্যাক্টরসদের সাথে রাজনৈতিক সংলাপে তাদের সমস্যা এবং দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপিত হবে।
প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ দাশ আরো জানান, হোপ প্রকল্পটি ০১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৭ অর্থাৎ ৩ বছর ৬মাস মেয়াদে কাজ করবে। ‘ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট’ এতে ১ম বছরে ১ কোটি ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২য় বছরে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকা, ৩য় বছরে ১ কোটি ১০ লাখ ৪ হাজার ৫৪৪ টাকা এবং পরবর্তী ৪র্থ বছরে ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮২২ টাকা অর্থাৎ মোট ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৮ টাকা অর্থায়ন করছেন। তিনি জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারী ও কিশোরীদের মানবাধিকার ও সামাজিক অংশগ্রহণ শক্তিশালী করতে ‘নেটস বাংলাদেশ’ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) এর ‘হোপ’ প্রকল্পে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছেন। এদিন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত হোপ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার উপ-সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান আসাদসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।