গ্রাহক সেবাকে প্রাধান্য দিলে কোনো প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে থাকে না, পুষ্পধারাই তার প্রমাণ, বলেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারক, দুদকের প্রথম ডিজি, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ ও বর্তমানে আশা ইউনিভার্সিটির ডীন সাইফুল আলম। আবাসন প্রতিষ্ঠান পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেডের ‘ভিআইপি গেস্ট ইভেন্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ট্রাফিকের ক্লান্তিকর শব্দ ছাড়িয়ে একরাশ হিমেল হাওয়ার ঝাপটা; ইটপাথরের জঙ্গলের থেকে দূরে একখণ্ড সবুজের পরিত্রাণ—এমনই এক ‘নান্দনিকতার স্বর্গ’ পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লি. এর পদ্মা ইকো সিটি প্রজেক্ট। যাঁরা আধুনিক জীবনের সব সুবিধাসহ প্রকৃতির কাছাকাছি থাকাটাকে সব সময় গুরুত্ব দেন, তাঁদের জন্যই সযত্নে গড়ে তোলা হয়েছে এই প্রকল্পটি। সকলের শতভাগ আস্থার সাথে পুষ্পধারা এগিয়ে যাচ্ছে। পুষ্পধারার নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতায় আমি মুগ্ধ। আমি নিজে এখানে জমি কিনেছি। ভবিষ্যতের পরিকল্পিত আবাসনের জন্য পুষ্পধারার বিকল্প নেই।
১৬ নভেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগের রাজবাড়ী কুইজিন রেস্টুরেন্টে ভিআইপি অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির)।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ (অব.) ও আশা ইউনিভার্সিটির ডীন মো. সাইফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ফারুক, সাবেক যুগ্ম সচিব ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য শাহ মো. আবুরায়হান আলবেরুনী ও পুষ্পধারার ডিরেক্টর (মার্কেটিং এন্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসিবুল হক মামুন।
এলসিবিএল ম্যানেজার হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন পুষ্পধারার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির)।
আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, পুষ্পধারার প্রকল্পগুলোর নকশা, নির্মাণ এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম অত্যন্ত সুসমন্বিত। পুষ্পধারার উন্নয়ন বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা শুধু একটি লাভজনক পদক্ষেপ নয়, এটি সম্মান, মর্যাদা এবং উচ্চ জীবনমানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রকল্পের অংশীদার হওয়া আপনাকে শুধু অর্থনৈতিক সাফল্যই এনে দেবে না বরং একটি মর্যাদাসম্পন্ন বিনিয়োগকারীর এক বিশেষ সম্মানের কারণও বটে।
শাহ মো. আবুরায়হান আলবেরুনী বলেন, আজকের আধুনিক নগরজীবনে শুধু একটি জমি বা বাসা কেনার স্বপ্নই যথেষ্ট নয়। সেই স্বপ্নে চাই আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এবং উন্নত মানের নির্মাণশৈলীর সমন্বয়। পুষ্পধারা তেমনই একটি আবাসন প্রকল্প, যা আধুনিক স্থাপত্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন। এই প্রকল্প সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পুষ্পধারা আধুনিক নাগরিক জীবনের সব সুবিধা নিয়ে এসেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক জীবনযাপনের জন্য আপনার ঠিকানা হতে পারে পুষ্পধারা।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির) বলেন, স্বপ্ন সত্যি হবেই স্লোগানে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ স্বপ্ন নির্মাণের লড়াইয়ে নামে। আজকে এই অনুষ্ঠানে এসে অনেকেরই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সততা, নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতা পুষ্পধারার পুঁজি। এর ওপর ভিত্তি করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছে। আলহামদুলিল্লাহ রাষ্ট্রীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে যথাযথভাবে আমাদের প্রকল্পগুলো এগিয়ে চলছে। খুব শীঘ্রই আমরা পুষ্প ইকো সিটি, পুষ্প হোমস্ লাক্সারিয়াস কন্ডোমিনিয়াম প্রজেক্ট, সিটি গ্রীন প্যালেস, পুষ্প স্যাটেলাইট সিটিসহ সব প্রকল্পেই গ্রাহকের আমানত প্লট হস্তান্তর করতে পারবো।
হাসিবুল হক মামুন বলেন, গ্রাহকদের শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাসের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় আশা করি সকলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
অনুষ্ঠানে পুষ্পধারা প্রপার্টিজের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের ওপর প্রেজেন্টেশন উত্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মূল পর্বে সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত অতিথিদের রিসিপশন, আসন গ্রহণ, বক্তব্য, প্রেজেন্টেশন, স্পট বুকিং, র্যাফেল ড্র এবং সবশেষে দেড়ঘণ্টার বুফে খাবার সেশন চলে।
ফ্রি র্যাফেল ড্রতে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে দশজন পান ওমরাহ, স্মার্ট ফোন, ডিনার সেট, ব্লেন্ডারসহ আকর্ষণীয় সব পুরষ্কার। তন্মধ্যে পবিত্র মক্কা মদিনা জিয়ারতে ওমরাহ পুরস্কার পেয়েছেন এডিএন টেলিকম লি. এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহাবুদ্দৌলা মানিক। দ্বিতীয় পুরষ্কার লাভ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এম এ মুহিত চৌধুরী। তৃতীয় পুরষ্কার লাভ করেন জিলান এসোসিয়েটস প্রাইভেট লি. এর চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে স্পট বুকিং পর্বে পুষ্পধারার বিভিন্ন প্রকল্পে প্লট ও ফ্ল্যাট বুকিং দিয়ে অনেকেই জিতে নেন কোম্পানির পক্ষ থেকে তিন দিনের মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ প্যাকেজ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি (সিআইডি) আমির জাফর, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক নজরুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক মোকাম্মেল হক, এনএসআই এর ডেপুটি ডিরেক্টর (অব.) ওমরুল ইসলাম, এএসপি (অব.) আখতার হোসেন, মতিঝিল জোনের এডিসি (পুলিশ) রেজওয়ানুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, প্রফেসর আকবর আলী সিরাজি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এম ফখরুদ্দিন চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট আবুল হাশেম, সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও আইটি বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন আহমেদ, অডিট অফিসার রাশেদ বিন রাজ্জাক লোচন, ক্যাকটাস বিডি-র ম্যানেজিং পার্টনার এন্ড সিইও শওকত আলী হাজারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ হাসান ঝুটন, বীকন এডুকেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম এর সিইও জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট স্টেশন (কর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান) এর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রেজাউল করিম, মেডিসিন বাজার লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীনুর ইসলাম, ঝিনাইগাতী যুব ফোরামের কোষাধ্যক্ষ সুলতান মাসুদুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আইনুল হক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার পারভেজ, হাফেজ মাওলানা রায়হান ফারুক, হেভেন্স গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার ফারহানা খানম, কলামিস্ট শাহনুর শাহীনসহ পুষ্পধারার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।