শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত গর্ভবতী মায়েদের অতি যত্ন সহকারে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। নরমাল ডেলিভারি সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারনাও করা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে নকলা হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা গর্ভবতী রোগী যেন হাসপাতালে এসে আগে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করেন; এরজন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারী ও সিএইচসিপিদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য সহকারী ও সিএইচসিপিরা প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি সিসিতে গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ করার পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তী চেকআপ ও নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রেরণ করেন। এতে ক্রমেই বাড়ছে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা।
এর অংশ হিসেবে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা হতে দুপুর ১ টার মধ্যে ৫ জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি সফল ভাবে সম্পন্ন করা হয়। নকলা হাসপাতালের ইতিহাসে এই প্রথম ৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ জন গর্ভবতী মহিলার নরমাল ডেলিভারি সফল ভাবে সম্পন্ন হলো। এই সফলতার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসক, মিডওয়াইভস, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নকলা হাসপাতালের সর্বিক সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের যত্নসহকারে নরমাল ডেলিভারি করানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ মিডওয়াইভস এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স কর্তৃক রাত-দিন ২৪ ঘন্টা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসব কালিন ও প্রসব পরবর্তী মায়েদের সঠিক সেবাদানে সংশ্লিষ্ট সবাই খুবই আন্তরিক।
এই সেবার সুমান ছড়িয়ে দিতে নকলা হাসপাতালে রয়েছেন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার ও নার্সদে সমন্বিত দক্ষ টিম। এছাড়া এই হাপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বল্প মূল্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুব্যবস্থা রয়েছে। এই হাসপাতালে প্রতিমাসে গড়ে অন্তত শ’খানেক গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করানো হয় বলে জানান, ডাঃ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।