মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর জেলা জজ আদালত ভবনের নিচতলার হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি রাজুর নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহাড়ি ও বাকাকুড়া এলাকায় জাল টাকা কেনাকাটা করার সময় হাতেনাতে পুলিশের কাছে আটক হন রাজুসহ তিনজন। জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলি আদালতে তাদের হাজির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আসামিদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ।
বিকেল ৪টার দিকে তিন আসামিকে এজলাস থেকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। কিছু সময় পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। আদালত প্রাঙ্গণেই শাহিন আটক হলেও রাজু পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে শেরপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রিমান্ড শুনানির পর তিনজনকেই হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় বয়স্ক আসামি বাবু অসুস্থতার কথা জানালে হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সঙ্গে হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারী কথা বলতে যান। এ সুযোগে রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌড় দেন। শাহিনকে জনতার সহায়তায় আটক করতে সক্ষম হই।’
পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।