শেরপুরের রানীশিমুল ইউনিয়নে সম্প্রতি প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২৫ নভেম্বর সকাল ১২ টার দিকে স্থানীয় বাজারে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে রফিকুল ইসলামের দোকানপাটে তাণ্ডব চালিয়ে, নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা সকাল ১২ টার দিকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দোকান ভেংগে মালামাল নিয়ে যায় ও প্রকাশ্যে বলতে থাকে কেউ আমাদের কিছুই করতে পারবেনা পুলিশ, হাইকোর্ট আমরা দেখবো । তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করেনি। ডাকাতির বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে , ভিডিও ভাইরাল না হলে ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতো।
ভোক্তভুগি রফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু দিন থেকে রানীশিমুল গ্রামের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, সামছুদ্দিন, মিজান, জুহুরুল, শরিফুল, মঞ্জুরুল, উশনাই, আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাদা দাবী করে আসতেছে, আমি চাদার টাকা না দিতে পারায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার দোকান ভেংগে নগদ টাকা, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক মালামাল প্রকাশ্যে সবার সামনে দিয়ে ডাকাতি করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
রানীশিমুল গ্রামের নুরেজা পারভীন বলেন, আমার ছেলের দোকান ডাকাতি সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে ও আমাদের হুমকি দিয়ে রাখছে আমরা কোন প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের শেষ করে দিবে, আমি তাদের সঠিক বিচার চাই।
এদিকে, নিরাপত্তার অভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বাজার এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহলের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, রানীশিমুল একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। লুটপাটের এই ঘটনায় রানীশিমুলের সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি এই বিষয়ে ভোক্তভুগির অভিযোগ পেয়েছেন এবং দ্রুত সময়ে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।