শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
টেকসই উন্নয়ন অর্জনে দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো সাসটেইনাবিলিটি সামিট ২০২৪ ঘুস, দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে কারাগারের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিকদের জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেরপুরে ক্রয়কৃত জমিতে ধান রোপণে বাঁধা, হামলায় আহত ২ তাহলে কমলাই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট! এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া নোয়াখালীতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে সাবস্টেশনে ছাত্রদের হামলা সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, ২৭৯ সিমকার্ড ও ৭৬ মোবাইলসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক টেলিটকের সেবার মান উন্নত করার নির্দেশ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

ভুল স্বীকার করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৮ বার
আপডেট সময় :: বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪, ৮:২২ অপরাহ্ন
ভুল স্বীকার করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, একেবারে আন্দোলনের শুরু থেকে বিক্ষোভকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারের আলোচনা করা এবং কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল।

বুধবার ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন জয়। এ সময় নয়াদিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন নিশ্চিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কোটা কমানোর বিষয়ে আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিল। আদালত ভুল করেছে এবং আমরা কোটা চাই না বলে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থাই বিষয়টি সামলাবে বলে প্রত্যাশা করেছিল।

বিক্ষোভ মোকাবিলায় সরকারের ভুল স্বীকার করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন এই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল।

জয় বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারী আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত ছিল। গত ১৫ বছরে আমাদের জঙ্গিবাদের সফল নিয়ন্ত্রণের কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। কেবল একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই দেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করতে পারে।

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে তার মায়ের চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জয় বলেন, এমনকি পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তা একদিন আগেও তিনি বা তার মা কেউই ভাবেননি।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার (শেখ হাসিনা) দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি বিবৃতিটির খসড়া তৈরি করছিলেন এবং সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবকিছু পরিকল্পিত ছিল। তিনি রেকর্ডিং শুরু করতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ‘ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখনই যেতে হবে।’

শেখ হাসিনা দেশ না ছাড়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছেন জানিয়ে জয় বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তারা সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত করে রেখেছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি… সেই সময় আমার খালা (শেখ রেহানা) আমাকে টেলিফোন করেন। আমি মাকে বোঝালাম যে, ‘তোমার নিরাপত্তার জন্যই তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও তোমাকে ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। হয় তোমাকে এই হত্যার জন্য দায় দেবে কিংবা যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই তোমার সবচেয়ে ভালো হবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।’

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি বাংলাদেশে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। আপাতত তিনি ভারতে থাকবেন।

শেখ হাসিনার অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে জয় বলেন, তাকে হেলিকপ্টারে করে দেশ থেকে চলে যেতে হয়েছে। তাই তার একমাত্র গন্তব্য ছিল ভারত। তার জীবন বাঁচানোয় এবং তাকে অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ধন্যবাদ। তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে… তাই তিনি নিরাপদ আছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে তার আশ্রয়ের আবেদন করার বিষয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে তার সবগুলোই গুজব। এসব একেবারে মিথ্যা। তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেননি।

ভারতের প্রতি তার বার্তা কী হবে, জানতে চাইলে জয় নয়াদিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আশা করব, ভারত নিশ্চিত করবে যে, ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, অরাজকতা বন্ধ হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচারণা ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি সেটা নিশ্চিত করা হয়, আমি এখনো নিশ্চিত যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হব। আমরা এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।

শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি ভারত ভ্রমণ করবেন কি না, জানতে চাইলে জয় বলেন, তিনি ভারতে যেতে চান। কিন্তু কখন যেতে পারবেন তা নিশ্চিত নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!