- Sherpur24 - https://sherpur24.com -

শেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও নাশকতার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ জানুয়ারী, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভলায়েরচর ইউনিয়নের জঙ্গলদী থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নেতা-কর্মীদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে, শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, বলাইরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোঃ বাদল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আতাউর রহমান, ১০ নম্বর চরপক্ষিমারি ইউনিয়ন সদস্য সচিব মোঃ জীবন মিয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মঞ্জু মিয়া।

পুলিশ জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার ভলায়েরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে চলমান নির্বাচনে জনগণকে কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এর একপর্যায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় বিএনপির উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের পাল্টা ১৭টি গুলি ও তিনটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, ‘আমরা আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয়, সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই রাস্তায় আমাদের নেতা সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বিনা কারণে নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে পুলিশ সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।’

এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন খবর আমরা পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশি অভিযান চালাই। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় সাতজনকে আটক করা হয়।

এ সময় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।