শেরপুরের নকলায় সাব-রেজিস্ট্রার (এসআর) অফিসে কর্মরত নকলনবিশরা তাদের চাকরি জাতীয়করণের একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।
নকল নবিশ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষনা ও নির্দেশনা মোতাবেক রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলিয়ে নকলার নকলনবিশগন কর্মবিরতি পালন করেন।
উপজেলা নকলনবিশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, নকলনবিশরা সেই বৃটিশ আমল থেকেই বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরের অতিগুরুত্বপূর্ণ ও জনসেবার কাজ করি আমরা; অথচ আমাদেরকে সরকারের কোষাগার থেকে কোন বেতন-ভাতা দেওয়া হয়না। আমরা দলিলের নকল লেখা বাবদ বর্তমানে প্রতি পৃষ্টা ৩৬ টাকা হারে পাই। এতে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় হয়, যা একজন নকলনবিশের সংসার চালানোর জন্য অতিনগন্য। অথচ আমরাই এই অফিসের মূল চালিকাশক্তি।
উপজেলা নকলনবিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরাও কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চাকরি স্থায়ী করণের (জাতীয় করণের) দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কর্মবিরতি পালন করেছি কয়েকবার। তৎকালীন সরকারের আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক সমাধান না হওয়ায় আবার কর্মবিরতি শুরু করেছি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আমরা আজ সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কর্মবিরতির কর্মসূচিকে সফল করতে তথা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হবো। মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের নকলনবিশগন ঢাকায় কর্মবিরতি পালন করবেন বলে তিনি জানান।
বৃটিশ আমল থেকে নকলনবিশরা ধারাবাহিক ভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছেন। তাই অবিলম্বে তাদের চাকরি জাতীয়করণ করার একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি আদায় না হলে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাগাতার কর্মবিরোধীসহ কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে নকলনবিশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানান।