শেরপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। ১ জুন শনিবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে শেরপুর ২৫০ বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে ওই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন শেরপুর-১ সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির পিতার সেই লালিত স্বপ্ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দরিদ্র বাংলাদেশ থেকে উন্নত বাংলাদেশ, আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, ইনশাআল্লাহ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের বিভিন্ন ইউনিয়নে যে স্বাস্থ্য কমিউনিটি ক্লিনিক সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪১টি রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। আজকে সারা বাংলাদেশের মত শেরপুর জেলাতেও যারা আগামী দিনের ভবিষ্যত সেই ছোট ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার চিন্তা করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম, পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম-সেবা, শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. খাইরুল কবীর সুমন, ডা. নাহিদ কামাল কেয়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. আহসানুল হাবিব হিমেল, প্রেসক্লাব সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা শেরপুর জেলা ইউনিটের সভাপতি আছাদুজ্জামান মোরাদ, সাধারণ সম্পাদক জিএইচ হান্নান, পৌরসভার ইপিআই সুপারভাইজার ফারুক আহমেদসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর জেলার সদর উপজেলাসহ ৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ৯৯৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬২ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুলসহ মোট ২ লাখ ২১ হাজার ১৫৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলায় ১ হাজার ৩৪৯টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন সফল করতে এসব কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের ৫১৪ জন কর্মীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকগণ কাজ করছেন।