শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ঢাকায় ০৭ – ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে অ্যানুয়াল বিআইডিএস কনফারেন্স অন ডেভেলপমেন্ট (এবিসিডি) ২০২৪ বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে যুক্তরাজ্যের ‘বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ প্রোগ্রাম’ কার্যক্রমের অর্জন উদযাপন ভারতে পাচারকালে বিপন্ন প্রজাতির ৬টি মুখ পোড়া হনুমান উদ্ধার ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শেরপুরে নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত শেরপুরের নকলায় জিয়া মঞ্চ’র উপজেলা কমিটি গঠন, আলোচনা সভা সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও আলোচনা সভা   আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার সুজন গ্রেফতার স্বপ্নের পুষ্পধারা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে

দ্বিতীয় প্রেমিকের বাড়ির উঠানে প্রথম প্রেমিকের লাশ উদ্ধার

মো: মেহেদী হাসান / ২০ বার
আপডেট সময় :: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:২৫ অপরাহ্ন

শেরপুরে অপহরণের সাত দিন পর কলেজছাত্র সুমন (১৭)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমনের মরদেহ তার প্রেমিকা আন্নি আক্তার (১৯) ও তার আরেক প্রেমিক রবিনের (১৯) বাড়ির উঠান থেকে মাটি চাপা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আন্নি, রবিন এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকার একটি বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সুমন শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরদিকে, আন্নি আক্তার শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে। রবিন শহরের সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা এবং তার বাবা মো. ফোরকান পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় আন্নির বাবা মো. আজিম উদ্দিনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার ও সুমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে আন্নি পরে রবিন নামে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি সুমনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এদিকে গত ৪ নভেম্বর সোমবার বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে আনেন আন্নি আক্তার। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সুমনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে আন্নি ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে প্রথমে আন্নি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে মেরে শহরের সজবরখিলা এলাকায় তার বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়া গিয়েছিল। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল তিনজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তে আরও কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে এলে তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!