জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন বলেছেন, জনগনের উপর জোর পুর্বক চেপে থাকা ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছে। তারা আপনার চারিদিকেই ঘুর-ঘুর করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকতে থাকতে হবে। সংগঠনকে গতিশীল করতে গিয়ে কোন চাঁদাবাজ, ভুমি দস্যু, বির্তকিত ব্যক্তিরা যেন জাসাসে ঢুকতে না পারে সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগনের সাথে মিশে জনগনের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতে হবে। দীর্ঘ ১৭বছর দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বিনা ভোটের সরকার জনগনের কোন কথা শুনেনি। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার কোন মুল্য দেয়নি। তাই ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ছে। দেশের মানুষ আজ নিঃশ্বাস নিতে পারছে, মন খুলে কথা বলতে পারছে। ছাত্র-জনতার এ অর্জন যেন বিফলে না যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে ময়মনসিংহ বিএনপি কার্যালয়ে বিভাগী সমাবেশ সফল করার লক্ষে আয়োজিত জাসাসের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন । ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা জাসাস আহ্বায়ক খন্দকার মহিউদ্দিন আহম্মেদ মইনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী।
ময়মনসিংহ দঃ জেলা জাসাসের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক ও মহানগর জাসাসের সাধারন সম্পাদক তারেক সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্বায়ক বিশিষ্ঠ নৃত্য শিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ফারহানা চৌধুরী বেবী, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ মোঃ বিল্লাল হোসেন,কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন শাহীন,কেন্দ্রীয় সদস্য শামছুল হোসাইন,কেন্দ্রীয় সদস্য তারিকুল ইসলাম ভুইয়া সায়মন তারিক,কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান,কেন্দ্রীয় সদস্য শফিকুল ইসলাম রতন,ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম স্পন,ঢাকা মহানগর দক্ষিনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আজিজ,ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ন আহ্বায়ক চৌধুরী শফিউল আজম রাশেল,ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু,ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা জাসাসের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ন কবির,জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্ববায়ক কবি জামান শাহ ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি রতন,জেলা জাসাস নেতা কবি সফিউল্লাহ আনসারীসহ কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা,জামালপুর জেলা জাসাসের সভাপতি,সম্পাদক আহ্বায়ক,সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবন্দ।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারন ও লালন করতে হবে। প্রতিটি জেলা নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করে আমাদের হারিয়ে যাওয়া হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
ফারহানা চৌধুরী বেবী বলেন,দীর্ঘ ১৭ বছর স্বাধিন ভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেনি দেশের মানুষ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতনের পর এখন মানুষ মুক্তভাবে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। এই অর্জন যেন বৃথা না যায় সেদিকে জাসাস নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
শামছুল হোসাইন বলেন,পাড়া-মহল্লায় সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগনকে জাগ্রত করতে হবে।