শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন-কে ঐতিহ্যবাহী নকলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলে ইউএনও এর অফিস কক্ষে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জামালপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফ, নকলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা তামান্না হোরায়রা, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসাইন, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন; ক্রীড়া সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, দৈনিক যায়যায়দিন’র উপজেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম লাভলু, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন ও নূর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সদস্য রেজাউল হাসান সাফিত, দৈনিক জবাবদিহি’র উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম আহমেদ লিমনসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সদস্য সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাদিয়া উম্মুল বানিনকে ময়মনসিংহ নেপ-এর উপপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নকলার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন এবং ৫ জুন নকলা উপজেলায় নিজ কার্যালয়ে কাজে যোগদান করেন। তিনি শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ এর “গ্রেড ০৪-০৯” ক্যাটাগরিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ীর গৌরব অর্জন করেন। “সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন-কে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৮টি গুণাবলির ভিত্তিতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়।
সাদিয়া উম্মুল বানিন ২০১৬ সালে ৩৪তম বিসিএস-এ প্রশাসন ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে ওই সালের পহেলা জুন তারিখে সহকারী কমিশনার হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদানের মধ্যদিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে নিষ্ঠার সহিত পালন করে আসছেন। তিনি বর্তমানে জেলা-উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকরণীয় কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত।