পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্প্রতি যে গণপদত্যাগ ও গণছুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আহ্বান, ছাত্র-জনতা এবং দেশের সুশীল সমাজের অনুরোধের প্রেক্ষিতে।
মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে সই করেন সমিতির এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) আব্দুল হাকিম, ডিজিএম মো. আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া এবং এজিএম (ইঅ্যান্ডসি) প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: সারাদেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করতে ২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম ছিল। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বন্যাদুর্গত মানুষের কথা বিবেচনা, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নব গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়, ছাত্র সমন্বয়ক এবং দেশের সুশীল সমাজের আহ্বান এবং সর্বোপরি আপামর জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বঘোষিত গণপদত্যাগ ও গণছুটি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।
এতে আরও বলা হয়: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে আরইবি এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিফর্ম কার্যক্রম ও সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার দাবি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবেন। এ বিষয়ে শিগগির কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সেবা প্রদানকারী ৮০টি সমিতি এবং পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের দ্বৈত শাসন এবং ৪৭ বছর ধরে চলমান বৈষম্য, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে একীভূতকরণের জন্য দুইটি দাবি রেখেছিলেন। তাদের দাবিগুলো ছিল আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণ এবং সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ।