ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার তেরটি ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন মাদকে সয়লাব। প্রতি ইউনিয়নেই চলছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা।
মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ৪নং গোয়ালনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সোনাতলা গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মো:সালাম মিয়ার উপর ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে এগারো ঘটিকার সময় হামলা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।ওই ঘটনায় সালাম মিয়া বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।তারা এলাকার চিহ্নত মাদক ব্যবসাী।তাদের বিরোদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে এবং তারা একাধিক বার জেলও খেটেছেন।
নাসিরনগরে মাদকের মধ্যে রয়েছে গাঁজা, ফেনসিডিল,ইয়াবা,হিরোইন ও বাংলা চোলাই মদ।তেরটি ইউনিয়নের মাঝে সব চেয়ে মাদকের বড় স্বর্গ রাজ্য হল ধরমন্ডল,গোয়ালনগর,কুন্ডা, চাতলপাড়, ভলাকুট,হরিপুর। উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোতেও কিন্তু তুলনা মুলক ভাবে মাদকের ছড়াছড়ি কম নয়।আর এ সমস্ত মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এলাকার শিক্ষিত বেকার, তরুণ আর যুব সমাজ।টিনেজরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। তারা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে অনেকেই আবার জড়িয়ে পড়েছে চুরি,ডাকাতির মত বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে।তাদের নিয়ে অভিভাবকরা ও এখন উদ্বিগ্ন।
কিছু কিছু ভদ্রবেশী উঠতি বয়সী ইয়াবা ব্যাবসায়ীরা প্যান্ট শার্ট পড়ে পকেটে ১/২ শ ইয়াবা নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন ষ্পটে ঘুড়ে ঘুড়ে বিক্রি করছে মরণনেশা ইয়াবা।কিন্তু তাদের দেখে কেউ বলতেও পারবে না তারা মাদক ব্যবসায়ী।আবার কেউ কেই বড় বড় মাদকের চালান পাচার করছে। ৫ আগষ্টের পর থানা পুলিশের নিস্কৃয়তার সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ব অনেকাংশে বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে।
অনেকেই আবার মাদকাসক্ত হয়ে মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে টাকার জন্য মা বাবাকে মারপিট করতে শোনা যাচ্ছে।নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইতি মধ্যে বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।অল্প সংখ্যক ছোট ছোট মাদক মাদকসেবীদের অনেক সময় আইনের আওতায় আনতে পারলেও বড় বড় মাদক ব্যবসাী ও রাগব বোয়ালরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
প্রশাসনকে সচেতন জনগণ ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেদ না নিলে ভবিয্যতে মাদকের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিজ্ঞ মহল।