বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মৌলবাদী গোষ্ঠিকে রুখে দিতে হবে—গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী নকলায় ৮৩.০৬% পাশসহ ১ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ কৃতকার্য, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬১৭ জন শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকা’র ঈদ পুনর্মিলনী জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পীর সাহেব আলী হায়দার মুর্শেদী (র:) এর প্রথম ওফাত দিবসে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত মাগুরা জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক মোবাইল ও টাকা উদ্ধারপূর্বক হস্তান্তর শেরপুরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই পদে ভাবি – দেবর নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্তৃক স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

৩০ বছর গবেষণার পর তৈরি হলো ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক

রিপোর্টারের নাম / ৩৫৩ বার
আপডেট সময় :: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৯, ৪:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রায় ৩০ বছর ধরে গবেষণার পর তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন। মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয় আফ্রিকার মালাউইতে।

আরটিএস নামের এ প্রতিষেধকটি বাচ্চাদের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রাথমিকভাবে মালাউয়িতে দু’বছর পর্যন্ত শিশুদের এই প্রতিষেধক দেয়া হবে। পরবর্তী ধাপে পাইলট প্রজেক্টের অঙ্গ হিসেবে ঘানা এবং কেনিয়ায় ‘আরটিএসএস’ নামে এই প্রতিষেধক দেয়া হবে। মোট তিন লাখ ৬০ হাজার শিশুকে এই প্রতিষেধক দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর পরে বিশ্বের আর কোন দেশে এই প্রতিষেধক পাঠানো যায়, তা ঠিক করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

malaria

আফ্রিকা থেকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী অভিযান শুরুর কারণ হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর ৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়ায় যত মৃত্যু হয়েছে, তার ৯৩ শতাংশই আফ্রিকার দেশগুলোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরবর্তী অভিযান ঘানা ও কেনিয়ায়।

টিকাটি উদ্ভাবন করেছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে।২০১৫ সালে ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন অ্যাজেন্সি’ এর অনুমোদন দেয়। একটি পরীক্ষায় শিশুদের ওপর ৪ বার প্রয়োগে এর ৩০ ভাগ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আবার এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার প্রবণতাও আছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যথা, জ্বর এবং খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জিএসকে এবং তার সহযোগীরা ৩০ বছরের প্রচেষ্টায় প্রায় ১০০ কোটি ডলারখরচ করে টিকাটি উদ্ভাবন করেছে। চলমান প্রকল্পে তারা ১ কোটি টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। পরবর্তীতে বড় ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে আনার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন জিএসকের একজন মুখপাত্র।

malaria

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিষেধক প্রক্রিয়া তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচওর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাধেনম গেবরাইসিস বলেন, ‘১৫ বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং মশারি বিতরণের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সাফল্য মিলেছে। কিন্তু সে-সবের হাত ধরে আসা সাফল্যের হার থমকে গিয়েছিল। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির গতি ফেরাতে নতুন কিছুর দরকার ছিল। এ প্রতিষেধক সেই কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

ডব্লিউএইচও’র চিকিৎসক ম্যারি হ্যামেল জানান, সারা বিশ্বেই এখনও পর্যন্ত শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো ম্যালেরিয়া। তবে আফ্রিকার শিশুরা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে প্রতি দু’মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হয় ম্যালেরিয়ায়। আফ্রিকায় প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি। এ অবস্থায় পাইলট প্রজেক্ট হলেও প্রতিষেধকের যাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের গবেষকেরা।

পাইলট প্রজেক্টের অঙ্গ হিসেবে যে-প্রতিষেধক যাত্রা শুরু করেছে, তা ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ার জন্য এবং শুধুই শিশুদের এ প্রতিষেধক দেয়া যাবে। প্রথম তিনটি ডোজ এক বছরের মধ্যে। চতুর্থ ডোজ দিতে হবে দু’বছরের মধ্যে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় প্রতিষেধকের সাফল্যের হার ৪০ শতাংশ। বাস্তবেও সেই হার বজায় থাকবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।

প্রতিষেধকের গুরুত্ব বোঝাতে তিনি বলেন, ‘‘ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যেসব কর্মসূচি রয়েছে, তার পাশাপাশি বাড়তি পাওনার কাজ করবে এ প্রতিষেধক। তাতে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল হবে না ঠিকই। তবে প্রকোপ কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!