সোহেল রায়হান, নেছারাবাদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি।

১৫ ই এপ্রিল সোমবার পিরোজপুর ২ এর নেছারাবাদের পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজের ৪৬ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সুধীজন সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – পিরোজপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব ও পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্সের(মোট ২২ টি প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম শামসুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -আনসার বিডিপির সাবেক অতিরিক্ত মহা পরিচালক মিজানুর রহমান, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হক,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেছারাবাদ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম মুহিদুল ইসলাম, স্বরুপকাঠি পৌরসভার মেয়র মোঃ গোলাম কবির, নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।
আরো উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম সরোয়ার, ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন, পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি বিএম ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ নেছারাবাদের ১০ টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যানগন, পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলী,ছাত্র ছাত্রী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি মহিউদ্দিন মহারাজ তার বক্তব্যে বলেন-হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।এবং বলেন আপনি আপনার বক্তব্যে আমার কাছে এই পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজের আধুনিক সংস্কারের জন্য প্রস্তাব রেখেছেন আমি মহারাজ বেঁচে থাকলে অচিরেই তা করে দেবো ইনশাল্লাহ এবং এই এলাকা ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সকল পদক্ষেপ আমি আন্তরিক ভাবে শতভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন- আপনি নেছারাবাদের একজন কৃতি সন্তান,আপনি একজন অতি সম্মানীত সাবেক সচিব।এযাবৎ বেশিরভাগ প্রার্থী আপনার সাথে পরামর্শ করে এবং আপনার সাপোর্ট বা সহায়তা নিয়ে নির্বাচন করেন বা নির্বাচিত হন।কিন্তু আমি আপনার সকল সাপোর্ট বা সহায়তা ছাড়া নির্বাচিত হয়েছি,তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আপনি আমাদের সম্মানি শ্রদ্ধাভাজন মুরব্বি তাই আমি/আমরা আপনার সকল পরামর্শ এবং সহায়তা নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করতে চাই।তিনি আরো বলেন- এই এলাকার গণমানুষের দ্বাবীর পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নেছারাবাদের সাথে একটি কানেক্টিং রাস্তা নির্মান হবে এবং এই নেছারাবাদের (স্বরূপকাঠি) বুকে স্বন্ধ্যা নদীর তীরে একটা ব্রিজ হবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতি কামনা করে তার মূল্যবান বক্তব্য শেষ করেন।